Header Ads

যে ১২ টি বিষয় ফ্রিল্যান্সারদের আজই হালনাগাদ করা প্রয়োজন!

যে ১২ টি বিষয় ফ্রিল্যান্সারদের আজই হালনাগাদ করা প্রয়োজন!
হ্যাঁ আপনারা সবাই ব্যস্ত। কারন আপনার ফ্রিল্যান্সিং ব্যবসা এবং ব্যক্তি জীবন দুটোতেই সময় দিতে হয়। এইসব ব্যস্ততার মাঝে খুব সহজেই আপনি মূল কিছু কাজ ভুলে যান, যা আপনাকে অন্য সবার থেকে পিছিয়ে দেয়।
আপনার ফ্রিল্যান্সিং পেশাটা কি সময়ের সাথে হালনাগাদ করেছেন?
আমি জানি খুব কম ফ্রিল্যান্সারই উত্তর দেবেন “না”। যদি আপনি গড়পরতা অন্য সব ফ্রিল্যান্সারদের মত হন তাহলে পেছনে পরে যাওয়ার সম্ভবনা আছে। ভাগ্যবসত এই বিষয় গুলো হালনাগাদ করতে খুব বেশি সময়ই লাগেনা।
আজ আমরা এই লিখাটির মাধ্যেমে এমন ১২ টি বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো যে বিষয় গুলো আপনাকে নিয়মিত হালনাগাদ করতে হবে। যদি আপনি দেখেন এই বিষয় গুলোর কোন একটিতেও আপনি পিছিয়ে আছেন, তাহলে যত দ্রুত সম্ভব তা হালনাগাদ করে নিন।
আসুন দেখে নেই তবে...
১। পোর্টফলিও
এইটা হল আপনার কাজের সৃজনশীলতার উদাহরন। আপনি যতই অভিজ্ঞ হবেন আপনার কাজের মান এবং সৃষ্টিশীলতা ততই বাড়বে। আর আপনি যদি আপনার পোর্টফলিও হালনাগাদ না করেন তাহলে আপনার ক্লায়েন্ট আপনার কাজ এবং অভিজ্ঞতার ক্রমোন্নতি দেখতে পারবেনা। তাই যত দ্রুত সম্ভব আপনার পোর্টফলিও হালনাগাদ করুন এবং আপনার ক্রমোন্নতির ধারাটা প্রকাশ করুন।
২। ব্লগ হালনাগাদ
আপনি কত দিন পর পর আপনার ফ্রিল্যান্সিং ব্যবসায়িক ব্লগে নতুন পোস্ট দেন? বেশীর ভাগ ফ্রিল্যান্সারই ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক তাদের ব্যক্তিগত ব্লগে নিয়মিত পোস্ট করেন না। প্রতি মাসে আপনার ব্যবসায়িক ব্লগে কয়েকটি নতুন পোস্ট দেওয়ার চেষ্টা করুন। নতুবা আপনার ক্লায়েন্ট ভাবতে পারে ফ্রিল্যান্সিং এর সাথে আপনার সম্পৃক্ততা জোরাল নয়।
৩। সামাজিক মাধ্যমগুলোর প্রোফাইল
আপনার ব্যক্তিত্ব প্রকাশের সবচেয়ে বড় মাধ্যম এটি। তাই সবসময় আপনার নিজের সম্পর্কে এবং আপনার কাজের সাথে সঙ্গতি রেখে আপনার প্রোফাইলকে হালনাগাদ রাখতে হবে। আপনার কাজের প্রাসঙ্গিক লিঙ্কগুলো এখানে শেয়ার করতে পারেন। আবার ব্যবসায়িক ব্লগ বা ওয়েব সাইটের লিঙ্কগুলোও শেয়ার করতে পারেন। যদি আপনার প্রোফাইল হালনাগাদ না করেন তাহলে হয়তোবা নতুন কোন ক্লায়েন্টের সাথে বড় কোন কাজ করার সুযোগ হাত ছাড়া হতে পারে।
৪। অনলাইন ছবি
আপনার ব্যবহৃত ছবিগুলো কত দিন আগে নেয়া? মনে রাখবেন আপনি বৈশ্বিক মার্কেটপ্লেস গুলোতে কাজ করছেন। সুতরাং আপনার ব্যবহৃত ছবিগুলো প্রফেশনাল হওয়া উচিত। আপনার সর্বোত্তম ছবি ব্যবহার করুন যা আপনার ব্যক্তিত্ব এবং কাজের সাথে মানানসই। ছবিতে যতটা সম্ভব নিজেকে চনমনে এবং পেশাদার দেখান।
৫। জীবন বৃত্তান্ত
অনেকেই ভেবে থাকে ফ্রিল্যান্সারদের আবার গতানুগতিক জীবন বৃত্তান্তের দরকার হয় নাকি? উত্তরটা হল “হ্যাঁ”। কারন বড় কোন প্রতিষ্ঠান বা কাজের ব্যাপারে জীবন বৃত্তান্ত দরকার হতে পারে। তো আর দেরি কেন এখনই একটি সুন্দর জীবন বৃত্তান্ত তৈরি করে ফেলুন।
৬। সফটওয়্যার
অধিকাংশ সফটওয়্যারেরই নিয়মিত হালনাগাদ হয়ে থাকে, নতুন সংস্করণ বের হয়। মূলত নুতন সংস্করণ গুলোতে আগেকার ত্রুটিগুলো দূর করা হয়। যদি আপনি এখনও পুরাতন সফটওয়্যার ব্যবহার করেন তাহলে অবশ্যই তা হালনাগাদ করে নিন।
৭। স্মার্টফোন অ্যাপস
আপনার স্মার্টফোন বা ট্যাবলেট পিসির অ্যাপস নিয়মিত হালনাগাদ করুন। এইটা কখনো উপেক্ষা করা উচিত নয়। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলুন।
৮। কম্পিউটার
আপনার ফ্রিল্যান্সিং ব্যবসার জন্য কত দিনের পুরাতন কম্পিউটার ব্যবহার করেন? যদি সময়টা ২ বছরের বেশি হয় তাহলে ওইটাকে সরিয়ে নতুন আরেকটি ভাল মানের কম্পিউটার নেওয়াই ভাল।
৯। দক্ষতা
আপনার দক্ষতা কি হালনাগাদ করেছেন? আপনার কাজের প্রাসঙ্গিক সরঞ্জাম গুলো কি আপনি ব্যবহার করতে পারেন? যদি আপনি প্রতিযোগিতায় টিকতে চান তাহলে আপনাকে “হ্যাঁ” উত্তরটাই দিতে হবে। দক্ষতা বাড়াতে প্রয়োজনে আপনি প্রশিক্ষণও নিতে পারেন।
১০। বাজেট
আপনি যতই সামনে এগোবেন ততই আপনার অভিজ্ঞতা এবং উৎপাদনশীলতা বাড়বে এবং এই বিষয় গুলোর সাথে সঙ্গতি রেখে আপনার বাজেটও হালনাগাদ করতে হবে। প্রতি ৬ মাস পর পর আপনার ব্যবসার সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনা করে বাজেট নির্ধারণ করতে হবে। না হলে আপনি কখনই ভাল মুনাফা পাবেন না।
১১। ব্যবসার লক্ষ্য ও পরিকল্পনা
ফ্রিল্যান্সিং ব্যবসার ক্ষেত্রে আপনি কি লক্ষ্য অর্জন করতে পেরেছেন? আপনার ব্যবসায়িক পরিকল্পনা কি সঠিকভাবে কাজ করছে? বাজেটের মত প্রতি ৬ মাস পর পর আপনার ব্যবসার পরিকল্পনাগুলোও পর্যালোচনা করে দেখতে হবে। লক্ষ্য পুরন হলেও থেমে থাকা যাবেনা। নিজেকে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে হবে।
১২। যোগাযোগের তথ্য
আপনার যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর তথ্য সবসময় হালনাগাদ রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক যোগাযোগ মাধ্যম ছাড়া আপনার ক্লায়েন্ট কখনই আপনার সাথে যোগাযোগ করতে সক্ষম হবেনা। মাঝে মাঝে খুবই অবাক হই যখন দেখি একজন ফ্রিল্যান্সারের ওয়েব সাইটে যোগাযোগের সঠিক তথ্য থাকেনা।
এখন আপনার কাজ হল উপরের ১২ টি ক্ষেত্র পর্যালোচনা করা এবং হালনাগাদ করা। আর সাথে সাথে উপরোক্ত তালিকাটা মনে রাখবেন ভবিষ্যতের জন্য। আপনার ফ্রিল্যান্সিং ব্যবসাটা কয়েক মাস পর পর নিয়মিত পর্যালোচনা করবেন। মনে রাখবেন এটি নিজেকে এগিয়ে নেওয়ার একটা চলমান প্রক্রিয়া।
তো আপনি?
আপনি কি আপনার ফ্রিল্যান্সিং ব্যবসা হালনাগাদ করেছেন? ফ্রিল্যান্সারদের আরও কোন কোন ক্ষেত্রে হালনাগাদ থাকা প্রয়োজন? আপনার মুল্যবান মন্তব্য শেয়ার করুন সাবার মাঝে।

1 comment:

Powered by Blogger.